আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

ইসলামী বিধি-বিধান ও শারীয়া মেনে উন্নত শিক্ষার সুযোগ এবং পরিবেশ নিশ্চিত করণ, শিক্ষার্থীদের যথার্থ জ্ঞান অর্জন ও দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর, জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং উচ্চ শিক্ষার দিগন্ত উন্মোচন করা আমাদের মূল উদ্দেশ্য। ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে আমরা সেই মানুষদের গড়ে তুলতে চাই যারা নৈতিকতা, সততা, ও মানবিক মূল্যবোধে অনুপ্রাণিত হবে। এভাবে আমরা একটি ন্যায্য, শান্তিপূর্ণ এবং সমৃদ্ধ সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সচেষ্ট। আমাদের উদ্দেশ্য শুধু জ্ঞান অর্জন নয়, বরং সেই জ্ঞানকে ইসলামী আচার-আচরণ, শিষ্টাচার ও নৈতিকতার ভিত্তিতে পরিচালিত করা, যাতে শিক্ষার্থীরা সত্য, ন্যায়, সৎ ও আল্লাহর নির্দেশনার প্রতি আনুগত্যের পথ অনুসরণ করতে পারে।

দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির মাধ্যমে আমরা একটি ইসলামী সমাজ গড়ার পথে পদক্ষেপ নিব। ইসলাম শিক্ষা ও কর্মের মধ্যে একটি নির্ভুল সমন্বয় স্থাপন করে, শিক্ষার্থীদের আধুনিক প্রযুক্তি, বিজ্ঞান ও ইসলামী দর্শনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব, যাতে তারা শুধু এক্ষেত্রে পারদর্শী না হয়ে, বরং ইসলামী শরিয়াহর নির্দেশনায় নিজেদের জীবন পরিচালিত করতে সক্ষম হয়। তথ্যপ্রযুক্তি ও আধুনিক শিক্ষার প্রতি আগ্রহ তৈরি করে শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী সুযোগ-সুবিধা অর্জনের জন্য প্রস্তুত করা হবে, তাছাড়া ইসলামিক মোরালিটির সাথে সমন্বয় সাধন করাও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, যাতে তারা পরিপূর্ণ মানবিক মূল্যবোধে ভরপুর হয়ে সমাজে একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে।

খড়খড়িয়া বিনোদপুর কুসুম্বী দাখিল মাদরাসা এমন একটি প্রতিষ্ঠান হতে চায়, যা শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি আদর্শ ও আকর্ষণীয় কেন্দ্র হয়ে উঠবে। এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে উন্নত শিক্ষার সুযোগ, সহায়তা ও অভ্যন্তরীণ পরিবেশ তৈরি হবে, যাতে তারা ইসলামী শিক্ষা ও শারীয়াহ মেনে একে অপরকে সম্মান দিতে শিখবে এবং আল্লাহর প্রতি আনুগত্যে জীবনের প্রতিটি দিক সুষ্ঠু ও সঠিকভাবে পরিচালিত করতে সক্ষম হবে।

আমাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা শুধু জ্ঞানার্জন করবে না, বরং তারা ইসলামী আদর্শে উন্নত চরিত্র গঠন, আত্মবিশ্বাসী হতে, সমাজে ভালো কাজের মাধ্যমে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করবে। সমাজে তাদের পরিপূর্ণ অবদান রাখতে, উন্নয়নশীল রাষ্ট্র গঠনে এবং মানবতার সেবায় তারা সর্বদা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু ইসলামের নৈতিকতা, শিষ্টাচার ও দায়িত্ববোধ শেখে, তাদের জীবনে শান্তি, সুখ ও সাফল্য আসবে, পাশাপাশি তারা পরিবার, সমাজ এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ও উৎপাদনক্ষম সদস্যে পরিণত হবে।

এভাবে আমাদের লক্ষ্য হলো—একদিকে শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করা, অন্যদিকে ইসলামী আদর্শ ও শারীয়া মেনে উন্নত, সদগুণসম্পন্ন মানুষ গড়ে তোলা, যারা সমাজে আলোর মতো কাজ করবে।